etc24 news

বাংলা অনলাইন নিউজপেপার।। ব্রেকিং নিউজ সার্ভিস

ধরা খেয়ে ফেসে গেলেন : বিদ্যালয়ের বাথরুমে আপত্তিকর অবস্থায় প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা

বিদ্যালয়ের বাথরুমে আপত্তিকর অবস্থায় প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা: লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় হাজরানীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকার সাথে প্রধান শিক্ষকের অনৈতিক সম্পর্কের বিচার দাবিতে প্রধান শিক্ষককে দিনভর অবরুদ্ধ করে রাখে অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থী।
বুধবার বিকালে ঐ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি সভাপতি ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্থ করলে তিনি অবমুক্ত হন। সাময়িক বরখাস্থাদেশ পাওয়ারা হলেন, ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী (৫০) ও সহকারী শিক্ষিকা সুমিত্রা রানী (৩৫)।
শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা জানান, এ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সুমিতা রানীর সাথে প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানীর দীর্ঘ দিন ধরে পরকীয়া সম্পর্ক চলে আসছে। বেশ কিছু দিন বিদ্যালয়ের বার্থ রুমে ঐ দুই শিক্ষককে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।
গত ১৮ জুলাই জেলার আদিতমারীতে ঐ শিক্ষিকার বাড়িতে গিয়ে অনৈক কাজের সময় হাতে নাতে ধরে ফেলে গনধোলাই দেন স্থানীয়রা। পরে সেখান থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছাড়া পান প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী। এরপর থেকে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়নি প্রধান শিক্ষক।
বুধবার প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা একটি কক্ষে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। বিষয়টি জানতে পেয়ে বিদ্যালয়টির সভাপতি কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ বিদ্যালয়ে ছুটে আসেন। এ সময় উপস্থিত জনতা ঐ দুই শিক্ষকের অপসরনের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। উপস্থিত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের কাছে বিস্তারিত শুনে তাৎক্ষনিক অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী ও সহকারী শিক্ষিকা সুমিত্রা রানীকে এ ঘটনায় সাময়িক ভাবে বরখাস্থ করা হয়।
সেই সাথে ঘটনাটির সুষ্ঠ তদন্তের জন্য উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার জাকিরকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী সুষ্ঠ বিচারের আশ্বাস দিলে উপস্থিত জনতার হাত থেকে মুক্তি পান প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী।
অভিভাবক আব্দুল মান্নান ও লেবু খা জানান, ছাত্রীরা প্রধান শিক্ষকের কাছে নিরাপদ নয়। তাই মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন তারা। তারাও প্রধান শিক্ষকের শাস্তিসহ অপসরন দাবি করেন।
ঐ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ধরিত্রী রানী বলেন, প্রধান শিক্ষক প্রায় সময় শিক্ষিকাসহ অনেক ছাত্রীকে উত্ত্যাক্ত করেছেন। বিদ্যালয়ের বাথ রুমে বেশ কিছু দিন আপত্তিকর অবস্থায় তাদেরকে আটক করা হয়েছিল।
প্রধান শিক্ষকের হাতে এ বিদ্যালয়ের ছাত্রী শিক্ষিকা কেউ নিরাপদ নন।
কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিক ভাবে তদন্তে সন্দেহাতীত ভাবে সত্য প্রমানিত হওয়ায় অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্থ করা হয়েছে। ঘটনাটি সুষ্ঠ তদন্তে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment :)